গোলাপগঞ্জে গৌছ হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলামসহ ১৩৪ জন আসামি

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।
৪ আগস্ট গুলিতে নিহত গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর ঘোষগাঁওয়ের বাসিন্দা গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা রেজাউল করিম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। আজ রোববার মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ৪ আগস্ট পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় এই প্রথম কোনো মামলা হলো।
এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন,
১। নুরুল ইসলাম নাহিদ, এম.পি, সিলেট-৬, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, সিলেট। ২। আমিনুল ইসলাম রাবেল, মেয়র গোলাপগঞ্জ পৌরসভা, ৩। রুহিন আহমদ খান, কাউন্সিলর ৫নং ওয়ার্ড, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা, ৪। কামরান আহমদ (৪৫), পিতা মৃত মাসুক আলী, সাকিন-রনকেলী দীঘিরপার, ৯নং ওয়ার্ড, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা, ৫। মান্না আহমদ (৩০), সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগ, গোলাপগঞ্জ, ৬। সুমন আলী (৪০) (আবাদি সুমন), পিতা অজ্ঞাত, সাকিন-ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া, ৭। লাভলু (৪০), পিতা সিরাজ উদ্দিন, সাকিন-পশ্চিম ঘোগারকুল, যুবলীগ, ৮। মনিরুল হক পিনু (৩২), পিতা মৃত ফজলুল হক লেচু মিয়া, সাকিন-কায়ওগ্রাম, ৯। তাজুল ইসলাম (৩৩), পিতা মৃত আব্দুর রাজ্জাক, সাকিন-ঘোষগাঁও নওয়াটুল, সভাপতি ছাত্রলীগ গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখা, ১০। ফখরুল ইসলাম সাহেদ, পিতা মৃত চান মিয়া, সাকিন-স্বরসতি, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা, ১১। সরওয়ার হোসেন সাজু (২৭), সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী যুবলীগ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা, পিতা নজরুল ইসলাম রেদওয়ান, সাকিন-ভাদেশ্বর, পূর্ববাগ, রাজাপুর, ৮নং ভাদেশ্বর ইউনিয়ন, গোলাপগঞ্জ, ১২। আব্দুস শহিদ শাওন, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি, পিতা অজ্ঞাত, ১৩। দেলওয়ার হোসেন দিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পৌর ছাত্রলীগ গোলাপগঞ্জ, পিতা মৃত আব্দুল মন্না, সাকিন-রণকেলী নয়াপাড়া (দক্ষিণভাগ), ১৪। হাম্মদ আহমদ (৩৫), পিতা জিলু মিয়া, সাকিন-হেতিমগঞ্জ (যুবলীগ নেতা), ১৫। আব্দুল হানিফ খান, চেয়ারম্যান, ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সহ ১৩৪ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে এছাড়াও আরও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. সম্রাট তালুকদার মামলা হওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।