বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: সুনামগঞ্জের আরেক মামলায় মন্ত্রী সহ আসামি ২৯৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ
গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জহুর আহমদের ভাই হাফিজ আহমদ। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমদের ছেলে।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন,
১। নূরুল হুদা মুকুট (৭০), পিতা মৃত কমরুন নূর, সাকিন-হাজীপাড়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, থানা ও জেলা-সুনামগঞ্জ ২। এম এ মান্নান (৭৫), পিতা মৃত মুন্সি আরফান আলী, সাকিন-ডুংরিয়া, থানা-শান্তিগঞ্জ, জেলা-সুনামগঞ্জ ৩। মুহিবুর রহমান মানিক (৭০), পিতা কলমদর আলী, সাকিন-আমেরতল, থানা-ছাতক, জেলা-সুনামগঞ্জ ৪। রণজিত সরকার (৫৫), পিতা অজ্ঞাত, সাকিন-টিলাগড়, সিলেট ৫। নোমান বখত পলিন (৫৫), পিতা মৃত হোসেন বখত, সাকিন-আরপিননগর, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ৬। নাদের বখত (৫৭), পিতা মৃত হোসেন বখত, সাকিন-আরপিননগর, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ৭। খায়রুল হুদা চপল (৫৫), পিতা মৃত কমরুন নূর, সাকিন-হাজীপাড়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, সর্ব থানা জেলা-সুনামগঞ্জ ৮। লাদেন হাসান (২২), যুবলীগ সভাপতি, ৫নং কোরবাননগর ইউনিয়ন, পিতা আব্দুর আব্দুর শহীদ, সাকিন-ব্রাহ্মণগাঁও, থানা-সুনামগঞ্জ সদর, জেলা-সুনামগঞ্জ ৯।মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (৫৯), পিতা দারগা আলী, সাকিন-নওধার, থানা-ধর্মপাশা, জেলা-সুনামগঞ্জ ১০। মোঃ সালেক মিয়া (৪৫), পিতা মৃত আকিল মিয়া, সাকিন-সুলতানপুর, সুনামগঞ্জ পৌরসভা। ১১। জাহিদুল ইসলাম বাপ্পী (২৭) পিতা জালাল উদ্দিন, সাকিন-মোহাম্মদপুর, সুনামগঞ্জ, হাল সাফিন-শামীমাবাদ, জেলা-সিলেট ১২। রাজন কুমার দাস (৪৫), ঘটনাকালীন সুনামগঞ্জে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত, ১৩। খালেদ চৌধুরী (৪০), ঘটনাকালীন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ পদে কর্মরত, ১৪। রিয়াজ আহমদ (৩৫), খটনাকালীন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত, ১৫। মঞ্জুর আহমদ খন্দকার (৪৪), পিতা আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, ১৬। শংকর চন্দ্র দাস (৫৭), পিতা অজ্ঞাত, সাকিন-হাছননগর, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ও খানা ও জেলা-সুনামগঞ্জ। ১৭। রেজাউল আলম নিষ্ণু (৬০), পিতা অজ্ঞাত, সাকিন-বাগেরকোনা, পাগলা, থানা-শান্তিগঞ্জ, জেলা-সুনামগঞ্জ। ১৮। হাজী আবুল কালাম (৬০), পিতা অজ্ঞাত, সাকিন-হাজীপাড়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ১৯। এহসান উজ্জ্বল (৩৫), পিতা আব্দুস সামাদ পঁচা, সাকিন-তেঘরিয়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ২০। অমল কর (৫৪), পিতা অজ্ঞাত, সাকিন-মহিলা কলেজ রোড, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, থানা ও জেলা-সুনামগঞ্জ ২১। প্রদীপ রায় (৫৭), পিতা প্রভাত রঞ্জন রায়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, দিরাই, সুনামগঞ্জ ২২। রিগ্যান (৩০), পিতা সবুজ মিয়া, সাকিন-উত্তর আরপিননগর, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, খানা জেলা-সুনামগঞ্জ ২৩। আপ্তাব উদ্দিন (৪০), পিতা মৃত জয়নাল আবেদীন, সাকিন-সোহালা, থানা-তাহিরপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ ২৪। সহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের ৯৯জন নেতার নাম উল্লেখ করে আরও ২০০জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অনেকেই আহত হন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ আহত একজন হলেন জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলা এরোয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা জহুর আলী (৩০)। তিনি বসবাস করতেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাধনপাড়া এলাকায়। ঘটনার প্রায় এক মাস পর জহুর আলীর ভাই মো. হাফিজ আহমদ (৪৫) বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে ৯৯ জনের নামোল্লেখ এবং আরও ২০০জনকে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করেন।





