জৈন্তাপুরে ভারতীয় ক্ষ্যাপা মহিষের তান্ডবে ৫ জন আহত দোকানপাটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
সাইফুল ইসলাম বাবু , জৈন্তাপুর:
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নং বাংলা বাজার ভারত থেকে আসা একটি ক্ষ্যাপা পাগলা মহিষের তান্ডবে ৫ জন ব্যাক্তি আহত সহ তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে স্হানীয় জনগণ কৌশলে মহিষটিকে আটক করে বেঁধে রাখে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩০শে অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ১০:৩০ ঘটিকায় হঠাৎ ৪ নং বাংলা বাজার ব্রীজ পার হয়ে স্হানীয় শ্রমিক সংগঠনের সাইট অতিক্রম করে বিলাল মিয়ার মালিকানাধীন খাবার হোটেলে ক্ষ্যাপা পাগলা মহিষটি ঢুকে পড়ে। এ সময় হোটেলে রান্না করা খাবার,চেয়ার টেবিল, হাড়িপাতিল সব কিছু শিং দিয়ে আক্রমণ করে তছনছ করে ফেলে।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে আব্দুস সালামের চায়ের স্টলে ঢুকে তান্ডব চালায়। এ সময় একটি শিশু সহ চারজন পথচারীকে মহিষটি আক্রমণ করে আহত করে। পরে ক্ষ্যাপা মহিষটি আব্দুল কাইয়ুমের মালিকানাধীম ফার্ণিচারের দোকানে ঢুকে পড়ে। তখন দোকানে থাকা রেডিমেইড আসবাবপত্র সহ কাঁচের গ্লাস ভাংচুর চালায়। এ সময় স্হানীয় জনতা দোকান থেকে বের হবার সময় কৌশলে মোটা দড়ি দিয়ে মহিষটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ সময় আহত হওয়া পাঁচ পথচারীর তিনজনকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আহতরা হলেন, উপজেলার ২ নং লক্ষিপুর গ্রামের মৃত গনী মিয়ার পুত্র আব্দুর রকিব (৫০), একই গ্রামের জলফু মিয়ার পুত্র ওদুদ মিয়া (৬০) ও কেন্দ্রী গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র ইব্রাহিম আলি (৩৫)। আহতদের মধ্যে আব্দুর রকিবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট রেফার্ড করা হয়েছে। তার মুখে মারাত্মক জখম বলে জানায় চিকিৎসক।
এদিকে মহিষটি আটককের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ৪ নং বাংলা বাজারের স্হানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহিষটি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ সময় ব্যাবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয় মহিষের তান্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫/৬ লক্ষ টাকা সমপরিমাণ। এদিকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসা ক্ষ্যাপা মহিষটি চোরাকারবারিদের হাত ধরে আসা নাকি মালিকবিহীন অবস্থায় সীমান্ত অতিক্রম করে আসা, সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় নি।





