বড়লেখায় শ্বশুর বাড়ির গাছে জামাতার ঝুলন্ত মরদেহ
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ গ্রামে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় শ্বশুর বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম কয়ছর আহমদ (৪৫)। পুলিশের কুলাউড়া সার্কেলের মো. আজমল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ গ্রামের মুক্তার মিয়ার মেয়ে মরিয়ম আক্তার হ্যাপির স্বামী কয়ছর আহমদকে শশুর বাড়িতে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
কয়ছর আহমদ মূলত কানাইঘাট উপজেলার বড়ছাতল গ্রামের মখলিছুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে বিয়ানীবাজার উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে বসবাস করেন এবং বারইগ্রাম বাজারে ফার্নিচার ব্যবসা করেন। তিনি ১০ বছর আগে দক্ষিণভাগের মুক্তার আলীর মেয়ে মরিয়মের সাথে বিবাহিত হন। এর আগে কয়ছর আহমদ তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেন এবং তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। মুক্তার আলী তার মেয়েকে কয়ছরের সাথে বিয়ে দেওয়ার পর জানতে পারেন, তার প্রথম স্ত্রী হত্যার ঘটনায় কয়ছর জেল হাজতে ছিলেন। শশুরবাড়ির লোকজন তাকে জেল থেকে জামিনে মুক্ত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণভাগ গ্রামের মুক্তার আলীর বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি আকাশি গাছে কয়ছর আহমদকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বিষয়টি বড়লেখা থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, সকাল ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে পুলিশ বলেছে, “ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।”





