নিবন্ধন না দেয়ায় চলছে আমজনতা পার্টির অনশন
সিলেট আই নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ
নিউজ ডেস্ক :
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে মাঠপর্যায়ে অধিক তদন্তের পর জায়গা পায়নি বাংলাদেশ আমজনতার দল। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিনটি দল নিবন্ধনের চূড়ান্ত কথা জানানোর পর নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসে দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান। দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফটকের এক পাশে বসে আছি। সহযোদ্ধাদের এখানে আসতে দেইনি, যাতে গেটে যাওয়া-আসার সমস্যা না হয়। কিন্তু তারা এই গেট পুরোপুরি লক করে অন্য পাশের পকেট গেট দিয়ে যাওয়া-আসা করছেন। পকেট গেটের পাশে বসলে আবার এটা খুলে দিচ্ছে। আবার এখানে এক পাশে বসলে অন্যটা খুলে দিচ্ছে। এখনো সুস্থ আছি। এই অনশন নির্বাচন কমিশনের জুলুমের বিরুদ্ধে অনশন।
গত মঙ্গলবার থেকে তিনি অনশন করে আসছেন, রাতে তার সঙ্গে কয়েকজন শীর্ষ রাত্রীযাপন করে। রাতে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। তারপর গতকাল সকালে তারেক রহমানের সঙ্গে যোগ দেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। রাশেদ খান বলেন, যেসব দল মাঠে নেই, অফিস নেই, সাংগঠনিক কাঠামো নেই তারা নিবন্ধন পাচ্ছে, অথচ ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করা তারেক রহমানের দল নিবন্ধন পাচ্ছে না, এটি অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে সাহস করে যে ব্যক্তি ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন থেকে শুরু করে রাজপথে আন্দোলন করেছেন তিনি তারেক রহমান। আজ সেই মানুষটি দল নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত। এটি গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। অতীতে বহু দল নিবন্ধন পেয়েছে যাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। আমরা দেখেছি, অনেক দলের অফিস নেই, কার্যকর কমিটিও নেই। ২৪ সালের ডামি নির্বাচনের আগে বিএনএম ও সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম, এসব নিষ্ক্রিয় দলের নিবন্ধন বাতিল করতে। কিন্তু এখনো তা করা হয়নি।
সম্প্রতি তিনটি দলকে নিবন্ধন দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এনসিপিকে আমরা শুভকামনা জানাই। কিন্তু বাকি দুই দলের সাংগঠনিক কর্মকা- নিয়ে গুরুতর সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ করে ‘আম জনগণ পার্টি’ নামের দলটি, যেটি ‘আমজনতার দল’-এর নামের সঙ্গে মিলে যায় তারা ডেসটিনির সঙ্গে যুক্ত থেকে একসময় গ্রাহকের টাকা লুট করেছে। এখন তারাই দল গঠন করেছে।
রাশেদ আরো বলেন, ইসির গেজেট প্রকাশের পর হঠাৎ তারা নানা জায়গায় কমিটি ঘোষণা করছে। অথচ রাজপথে তাদের কোনো ভূমিকা আমরা কখনো দেখিনি। দল নিবন্ধনের প্রধান শর্ত হওয়া উচিত রাজপথে সক্রিয়তা ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা। ভুয়া কমিটি দেখিয়ে নিবন্ধন পাওয়া অনৈতিক।
রাশেদ জানান, তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে চান, কোন প্রক্রিয়ায় অন্য দলগুলো নিবন্ধন পেলো এবং কেন আমজনতার দলকে বঞ্চিত করা হলো। তারেক রহমান শুধু একটি দলের নেতা নন; তিনি আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক। ২০১৮ সালের সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এমনকি আটকও হয়েছিলেন। সেই নেতার দল নিবন্ধন না পাওয়া গণতন্ত্রের প্রতি চরম অবিচার।
গত মঙ্গলবার ‘হ্যান্ডশেক’ মার্কায় বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, ‘শাপলা কলি’ মার্কায় এনসিপি ও ‘কাঁচি’ মার্কায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দাবি-আপত্তি আহ্বান করে প্রজ্ঞাপন করেছে।





