তাহিরপুরে কামরুলের সমাবেশে জনস্রোত
সিলেট আই নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৩০ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অনুষ্ঠিত হয় এক স্মরণীয় জনসমাবেশ। সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) আসনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত, কিন্তু কর্মী-সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল-এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বিশাল সমাবেশে মানুষের ঢল নামে।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে হাজারো নেতাকর্মী মোটরসাইকেল শো-ডাউন ও মিছিল নিয়ে তাহিরপুর উপজেলা সদরে প্রবেশ করলে পুরো এলাকা যেন ঢলে পড়ে নীল-সাদা-কালো ব্যানার-ফেস্টুনে। মুহূর্তেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় সভাস্থল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান উজ্জল, বালিজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, এবং সহযোদ্ধা চান মিয়া মাস্টারসহ আরও অনেকে।
কামরুল যখন প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে ওঠেন, তখন চারপাশে “ধানের শীষের জয় হোক” আর “তারেক রহমানের সৈনিক কামরুল ভাই এগিয়ে চলো”—এমন শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন, তারপর কণ্ঠ ভারী হয়ে বলেন—
“আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমার নেতা তারেক রহমানের নির্দেশের বাইরে যাব না। আমি আমাদের দলের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শের একজন সৈনিক। আমার রাজনীতি টাকা-পয়সার জন্য নয়—আমার সব সম্পদ আপনাদের ভালোবাসা।”
হাজারো জনতার চোখে তখন আনন্দ আর ভালোবাসার অশ্রু। করতালিতে, শ্লোগানে, উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে চারদিক। কামরুল বলেন, “আমাকে যদি দল এই আসনে দায়িত্ব দেয়, আমি আপনাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসাকে আমার শক্তি করে মাঠে নামব। জেল-জুলুম, হামলা-মামলা কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না। আমি জিয়ার সৈনিক—রাজপথেই আমার জীবন।”
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, কীভাবে ৭ই নভেম্বরের সেই ঐতিহাসিক দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সিপাহী-জনতার আন্দোলনের মুখে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয় নেতৃত্বে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
দীর্ঘ বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন—“আমার কিছু নেই, কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা আছে। এই আসনের প্রতিটি মানুষই আমার শক্তি। যতদিন বেঁচে থাকব, জনগণের অধিকার আর গণতন্ত্রের জন্য লড়ব।”
তার বক্তব্য শেষ হতেই সভাস্থল করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। মানুষ তখনো মঞ্চের দিকে তাকিয়ে—যেন নতুন আশার আলো দেখছে তাহিরপুরের মাটিতে।





