দোয়ারাবাজারের কৃতি সন্তান শারমিন জাহান মিতার বিসিএস সাফল্য
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ছোট্ট টিলাগাঁও গ্রামে আজ গর্ব ও আনন্দের ঢেউ বয়ে গেছে। ৪৪তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ইংরেজি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন গ্রামের কৃতি সন্তান শারমিন জাহান মিতা।
শারমিন জাহান মিতা দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ আব্দুল মন্নাফ ও পরিবার কল্যাণ সহকারী বেগম ফাতেমা আক্তারের জ্যেষ্ঠ কন্যা। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ও অধ্যবসায়ী মিতা ২০১১ সালে টেংরাটিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১৩ সালে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স উভয়েই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
নিজের সাফল্য সম্পর্কে মিতা জানান, “এটি আমার জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়। আল্লাহর অশেষ রহমত, বাবা-মায়ের দোয়া, শিক্ষকদের মমতা ও নিজের পরিশ্রমের মিলিত ফল। আমি চাই, আমাদের গ্রামের মেয়েরা বড় স্বপ্ন দেখুক এবং সাহস করে তা বাস্তবে রূপ দিতে শিখুক।”
মিতার বাবা আব্দুল মন্নাফ বলেন, “মিতা ছোটবেলা থেকেই দায়িত্বশীল, মনোযোগী ও পরিশ্রমী ছিল। তার এই সাফল্য শুধু আমাদের পরিবারের নয়, সমগ্র দোয়ারাবাজারবাসীর গর্ব।”
মা বেগম ফাতেমা আক্তার যোগ করেন, “মিতা ছোটবেলা থেকেই অধ্যবসায়ী। তার অর্জন আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। আশা করি, সে একজন মানবিক ও সৎ শিক্ষক হয়ে দেশের সন্তানদের আলোর পথে নিয়ে যাবে।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মিতার বিয়ে হয় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার মো. মুহিবুর রহমানের সঙ্গে, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে প্রশিক্ষণরত।
আজ দোয়ারাবাজারের তরুণ প্রজন্মের জন্য শারমিন জাহান মিতা অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল বাতিঘর—তার গল্প প্রমাণ করে যে, স্বপ্ন এবং অধ্যবসায় থাকলে ছোট্ট গ্রাম থেকেও বড় স্বপ্নের পথে এগোনো সম্ভব।





