জকিগঞ্জের স্বপ্ন আর পরিশ্রমের দৃষ্টান্ত লিমনের সবজি বাগান
নিজস্ব প্রতিবেদন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রী ইউনিয়নের গদাধর গ্রাম। কুশিয়ারা নদীর বুকে জেগে ওঠা চর এখন আর শুধু নদীর বালি-ধুলোর গল্প নয়—এখানে বাজছে পরিশ্রম আর বিশ্বাসের নতুন সুর। কারণ, স্থানীয় সাংবাদিক লিমন তালুকদার নিজের হাতের মমতায় গড়ে তুলেছেন এক নজরকাড়া শীতকালীন সবজির বাগান, যা আজ এলাকার মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার আরেক নাম।
এই চরজুড়ে শিম, বেগুন, বরবটি, ঢেঁড়সসহ নানা সবজির বাম্পার ফলন যেন জানান দিচ্ছে—ইচ্ছাশক্তি আর আন্তরিক চেষ্টা থাকলে অসম্ভবও সম্ভব। লিমনের এই উদ্যোগ দেখে শুধু কৃষক নয়, সাধারণ মানুষও নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ বাগানটি ঘুরে দেখেন। সবুজ সুগন্ধে ভরা জমি দেখে তারা মুগ্ধ হন এবং বলেন—
“লিমনের এই উদ্যোগ শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়—এটি পুরো এলাকার কৃষি উন্নয়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনার চিত্র।”
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক জুবায়ের আহমদ, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক আহমদ হোসাইন আইমান, নির্বাহী সদস্য সাইফুর রহমান, সদস্য উবেদুল্লাহ তালুকদার ও কয়েছ আহমেদ চৌধুরী।
নিজ উদ্যোগে বাগান গড়ে তোলা লিমন তালুকদার বলেন,“মাটি খুব উর্বর, তাই ফলন ভালো হয়। কিন্তু প্রতিদিন নিজের খরচে সেচ দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। নদী থেকে পানি তুলতে সময়, শ্রম ও অতিরিক্ত ব্যয়—সব মিলিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে।”
তিনি আরও জানান, বীরশ্রী ইউনিয়নে এখনো কৃষি অফিস থেকে কোনো সেচ মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, অথচ পাশের ইউনিয়নগুলোতে সুবিধা পৌঁছেছে।
প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন—“সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা পেলে গদাধরসহ আশপাশের চরাঞ্চল সবজি উৎপাদনের শক্তিশালী হাবে পরিণত হতে পারে।”তারা দ্রুত সেচ মেশিন বরাদ্দের দাবি জানিয়ে কৃষি অফিসকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
এলাকার সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন—এ ধরনের উদ্যোগই জকিগঞ্জের কৃষিকে বদলে দিতে পারে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে চরাঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি জমিই হয়ে উঠতে পারে আশার মশাল, সমৃদ্ধির প্রতীক।





