জৈন্তাপুরে ফ্রি সুন্নতে খৎনা ক্যাম্প: শতাধিক শিশুর খৎনা সম্পন্ন
জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৪:১৫ অপরাহ্ণ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নে অবস্থিত মরিয়ম মেমোরিয়াল হাসপাতালে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দিনব্যাপী ফ্রি সুন্নতে খৎনা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম। ক্যাম্পে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১০০ শিশুকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সুন্নতে খৎনা করা হয়। স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো এ উদ্যোগকে স্বস্তিদায়ক ও মানবিক বলে মন্তব্য করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৪ আসনের এমপি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, “অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতেও যেন দরবস্ত এলাকায় চিকিৎসাসেবা আরও বিস্তৃত হয়।”
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম. এ. মতিন, যিনি আধুনিক চিকিৎসায় সঠিক সেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন। আরও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা, ডিএমডি সোলায়মান আহসান তানভির, উপজেলা জামায়াতের আমির গোলাম কিবরিয়া, রোটারিয়ান ও ব্যবসায়ী কবির আহমদ, দরবস্তের বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুস সবুর, এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা এনামুল হক।
স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে আয়োজিত ক্যাম্পে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করে মানবাধিকার সংগঠন হিট ফাউন্ডেশন। উক্ত সংগঠনের সভাপতি ইমাম উদ্দিন, সিনিয়র সভাপতি হুসেন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আম্বিয়া হোসাইন, এবং এডভোকেট ইয়ামিন চৌধুরী ক্যাম্পে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেন। এ ছাড়াও দরবস্ত ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মুসলিম আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিশুদের খৎনা কার্যক্রম পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জনদের একটি দল। ক্যাম্পে আগত অভিভাবকরা জানান, ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেবার সময়ে এ ধরনের বিনামূল্যের ক্যাম্প সাধারণ মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। অনেকেই এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
আয়োজকরা জানান, খুব শিগগিরই মরিয়ম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়মিত আউট ডোর সেবা চালু হবে। এতে জৈন্তাপুর ছাড়াও গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য মানবিক চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য হবে।
স্থানীয়ভাবে হাসপাতালভিত্তিক এমন সেবা বাড়লে পুরো এলাকার স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।





