সিলেট-৬ আসন: বিএনপিতে প্রার্থীতা নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে
লিমন তালুকদার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ণ
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপি মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে দলের একাংশ।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করে। সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১৪টির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েকটি আসনে তৃণমূলের একাংশ মনোনীত প্রার্থীর পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, দলের কিছু নেতার প্রার্থীতা নিয়ে ভুল হয়েছে।
সিলেট-৬ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার ছয় দিনের মাথায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাকে বাদ দিয়ে ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে পুনর্বিবেচনার দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ফয়সল লক্ষাধিক ভোট পেয়েছিলেন। বর্তমান সুদিনে কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।
তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, ২০১৪ সালের গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে এমরান আহমদ চৌধুরী জামায়াতের প্রার্থীর কাছে তিনগুণ ভোটে পরাজিত হয়ে পঞ্চম হন। এর কারণে তার বর্তমান মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। স্থানীয় নেতারা বলছেন, “যিনি উপজেলা নির্বাচনে জিততে পারেননি, তিনি জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন?”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমরানের কিছু ছবি ও বিতর্কিত আচরণও তৃণমূলের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজ এলাকার কর্মীদের মাঠে নামতে না দিয়ে অন্য উপজেলা থেকে লোক এনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফলে তৃণমূলের সঙ্গে তার দূরত্ব আরও প্রকট হয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, সিলেট-৬ অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন। জামায়াত শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছে। তাই প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হলে দলের জন্য তা মারাত্মক হতে পারে।
রিভিউ দাবির দু’দিন পর রবিবার এমরান আহমদ চৌধুরী হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন।
এমরান একটি খোলা চিঠিতে বলেছেন, “৩ নভেম্বরের আগে আমার বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার হয়নি। তবে মনোনয়ন ঘোষণার পর কিছু রাজনৈতিক লেবাসধারী ব্যক্তি আড়াল থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, বিভ্রান্ত হবেন না। ষড়যন্ত্রকারীরা ভেসে যাবে, দিনশেষে সত্যের বিজয় হবে।”





