দুর্নীতি বাড়বে ভাল মানুষ নির্বাচিত না করলে— হবিগঞ্জে দুদক চেয়ারম্যান
সিলেট আই নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন—সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে যারা সংসদে যাবেন, আমরা যাদেরকে নির্বাচিত করব, তাদেরকে দেখে-শুনে বেছে নিতে হবে। আমরা খারাপ লোক নির্বাচিত করলে খারাপ ফলই পাব। তাই আমাদের ভালো মানুষকে ভোট দিতে হবে। ভালো লোক নির্বাচিত হলে ভালো প্রশাসক আসবে, আর খারাপ লোক নির্বাচিত হলে ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজই আসবে।
তিনি বলেন—দুদক কোনো বিশাল প্রতিষ্ঠান নয়, এটি তুলনামূলক ছোট অফিস। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা কাজ করি। সময়মতো তথ্য পেলে তদন্ত করে আমরা সত্য-মিথ্যা তুলে ধরতে পারি।
তিনি আরও বলেন—সাবেক পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সময় তার সম্পদের হিসেব গোঁজামিল দেওয়া ছিল। সেটি যদি ধরা পড়ত, তাহলে তার নমিনেশন বাতিল হতো, এমপি হওয়া তো দূরের কথা, প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন না। তার দলও ক্ষমতায় আসতে পারত না। তখন আমরা তার সম্পদের সঠিক হিসেব নিতে পারিনি।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ৩টা থেকে হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় আয়োজিত গণশুনানিতে অংশ নিয়ে, গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম এবং হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
গণশুনানিতে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব দপ্তরের প্রধানসহ অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানি চলাকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিরথান এলাকার ট্রাকচালক নোমান মিয়া সহকারী মোটরযান পরিদর্শকের সামনে থেকেই তার বিরুদ্ধে ৪ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক চেয়ারম্যান অভিযোগ প্রমাণিত হলে সহকারী মোটরযান পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এছাড়াও নবীগঞ্জের গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ আসায় তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন স্থানে দুদকের দশটি বুথে প্রায় দুইশ অভিযোগ জমা পড়ে। যার বেশিরভাগই রেলওয়ে, হাসপাতাল, নির্বাচন, রেজিস্ট্রি, বিআরটিএ, পাসপোর্ট, শিক্ষা অফিস, গণপূর্তসহ বিভিন্ন দপ্তরকে ঘিরে। এর মধ্যে ছাঁটাই করে ৮৩টি অভিযোগের প্রকাশ্য শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।





