সিলেটে ১৮ টি ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায়
রোদ্দুর রিফাত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০৭ অপরাহ্ণ
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে নগরের ১৮টি ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১২ সালে সিসিকের তালিকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ছিল ২৪টি। এর মধ্যে ৫টি ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং ১টি আংশিক অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ভবনগুলো এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
অপসারণ করা ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্দবাজারের কালেক্টরেট ভবন-৩, পুরান লেনের শফিকুল হকের বাড়ি ৪/এ, কিবরিয়া লজ (যা পরে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সংস্কার করা হয়), শেখঘাটের নূরানী-১৪ নম্বর বাড়ি, ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়ের পৌর বিপণি মার্কেট এবং ধোপাদিঘীর পাড়ের পৌর শপিং সেন্টার। এছাড়া বন্দরবাজার সিটি সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি দোকানও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ঝুঁকিতে থাকা আরও ১৮ ভবন
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ভবনগুলোর তালিকায় রয়েছে—সমবায় ব্যাংক ভবন মার্কেট, জেলরোডের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয়, সুরমা মার্কেট, মিতালী ম্যানশন, আজমীর হোটেল, মধুবন মার্কেট, মান্নান ভিউ, শুভেচ্ছা-২২৬, সরকার ভবন, নবপুষ্প-২৬/এ, রাজা ম্যানশন, মিতালী-৭৪, মেঘনা-এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়ারিছ মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৭, একতা-৩৭৭/৮, শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, একতা-৩৭৭/৯ এবং পূর্ব পীরমহল্লার ৬২/বি ‘প্রভাতী’, শ্রীধরা হাউস, লেচুবাগানসহ আরও কয়েকটি স্থাপনা।
এই তথ্যগুলো জানানো হয় সোমবার (২৪ নভেম্বর) নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ‘ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয়’ বিষয়ক এক সভায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিসিক প্রশাসক ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।
‘সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে’
সভায় প্রশাসক রেজা-উন-নবী বলেন,“নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবন ভেঙে ফেলা হবে। প্রয়োজন হলে নতুন করে মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করা হবে।”তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকাজের সরঞ্জাম বৃদ্ধি এবং জনগণকে সচেতন করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন,“ভূমিকম্পের সময় মানুষ যাতে দ্রুত নিরাপদ স্থানে যেতে পারে, সেজন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা প্রস্তুত রাখা দরকার। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।”
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন,“দুর্যোগের সময় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও স্বেচ্ছাসেবক পাওয়া যায় না। তাই এখন থেকেই স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলা ও সরঞ্জামের ডাটাবেজ তৈরি করা জরুরি।”
সভায় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, জালালাবাদ গ্যাস, আনসার ভিডিপি, সিভিল সার্জনের কার্যালয়সহ সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।





