শ্রীমঙ্গলে সরকারি গাড়ির ভুয়া জ্বালানির বিল উত্তোলনের অভিযোগ
রোদ্দুর রিফাত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ৪:১৭ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সরকারি গাড়ির জ্বালানি খরচ দেখিয়ে ভুয়া বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, মাত্র ১ হাজার ৫২৩ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েও বিল দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-৭৫৩৪ নম্বর সরকারি গাড়িটি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮২৩ কিলোমিটার চলার তথ্য রয়েছে লগবইয়ে। গড়ে প্রতি মাসে চলাচল হয়েছে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার। কিন্তু অফিস থেকে জ্বালানির জন্য দেখানো হয়েছে গড়ে প্রতি মাসে ৮০০ কিলোমিটার, মোট ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার হিসেবে। এর ভিত্তিতে তোলা হয়েছে ১ হাজার ৪৪০ লিটার জ্বালানির বিল। দুই দফায় উত্তোলিত অর্থ ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ টাকা।
মাসওয়ারি চলাচলের তথ্য,লগবই অনুযায়ী গাড়িটি অক্টোবর—৮৭ কিমি,নভেম্বর—৬৭ কিমি,ডিসেম্বর—৪৯১ কিমি,জানুয়ারি—১৫২ কিমি,ফেব্রুয়ারি—১২১ কিমি,মার্চ—২৯০ কিমি,এপ্রিল—২৪৪ কিমি,মে—১৩০ কিমি,জুন—২৪১ কিমি চলেছে।
অভিযোগের বিষয়ে গাড়ির চালক মো. বাবুল মিয়া বলেন, তিনি এখন আর শ্রীমঙ্গল প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নেই। তাঁর কাজ ছিল শুধুই গাড়ি চালানো।
তিনি বলেন, “মিটার দেখে প্রতিদিনের কিলোমিটার লগবইয়ে লিখে দিতাম। তেলের বিল তোলার দায়িত্ব অফিসের। এখানে চালকের সম্পৃক্ততা নেই।”
বদলি হওয়ার পর এ ঘটনায় তাঁকে জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,“গাড়ি যতটা চলেছে, ততোটুকুই বিল তোলা হয়েছে।”তিনি দাবি করেন, লগবই অফিসে থাকে না; তাঁর বাসায় থাকে। স্বাক্ষর জালিয়াতিরও ইঙ্গিত দেন তিনি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম খান বলেন, “গাড়ির প্রকৃত ব্যবহারের বাইরে অতিরিক্ত বিল তোলা সম্ভব নয়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অনিয়মের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





