শাবিপ্রবিতে হেলে পড়েছে ইউসি ভবন,দেয়ালে একাধিক ফাটল
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
উদ্বোধনের মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি সেন্টার (ইউসি ভবন) ভবনটি দৃশ্যমানভাবে হেলে পড়েছে এবং ভবনের দেয়ালে একাধিক গভীর ফাটল ধরা পড়েছে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্পের ফলে শিক্ষার্থীরা এটিকে জীবনের ঝুঁকি হিসেবে দেখছেনে। তবে ভবনটির সংস্কারের কাজ দ্রুতই হাতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, দু’তলা ভবনটি স্পষ্টভাবে পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে। কয়েকটি দেয়ালে লম্বা তির্যক ফাটল চলে গেছে। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেয়ালের চেরা দাগ চোখে পড়ে। এসব চিহ্ন ভবনের কাঠামোগত দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
জানা যায়, ভবনটিতে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক সংগঠনের কক্ষ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেশ ও নিদর্শনা দফতরের অফিস ও ব্যাংকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের কক্ষ রয়েছে। এসব সংগঠনের বিভিন্ন ধরনের মিটিংসহ অফিস ও দফতরে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুজ্জামান বলেন, ‘ইউসি ভবনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করি। আমরা ভয়ে থাকি যে কখন না যেন ভবনটি ভেঙে পড়ে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সৃষ্টির ফলে সবাই আরো বেশি ভয়ে আছি।’
এ বিষয়ে সিভিল অ্যান্ড এনভারমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: জহির বিন আলম বলেন, ‘ইউসি ভবনটির অবস্থা খুবই নাজুক। ভবনটি দু’তলা হলেও এটি ভেঙে পড়তে বড় কোনো ভূমিকম্পের দরকার হবে না। সিলেটের আশেপাশে যদি ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পও হয় তাহলেই এটি ভেঙে পড়বে। আমরা ইতোমধ্যে প্রশাসনের কাছে ভবনটি নিয়ে একটা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আমরা সেখানে ভবনটির পশ্চিম পাশের অংশ ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছি।’
জানতে চাইলে চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো: জয়নাল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি একটা রিপোর্ট পেয়েছি এবং সেটার প্রতিউত্তর আমি জমা দিয়েছি। সেখানে আমি ভবনটি ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছি এবং অফিস, ব্যাংক ও অন্য সংগঠনের কক্ষগুলোর জন্য উপযুক্ত স্থান খোঁজা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত দিলে আমরা কাজ শুরু করব।’
এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা একটা রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, যে অংশটুকু হেলে পড়েছে সেটা হয়তো ভেঙে ফেলতে হবে। সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’




