ভ্যাট দিবস ও ভ্যাটসপ্তাহে সিলেটে সেমিনার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৪৭ অপরাহ্ণ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের মতো সিলেটেও পালিত হচ্ছে ভ্যাটদিবস ও ভ্যাটসপ্তাহ-২০২৫। এ উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেটের উদ্যোগে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর তথ্যব্যবস্থাপনা ও সেবা) আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আশরাফুর রহমান এবং কর অঞ্চল–সিলেটের কর কমিশনার ভূবন মোহন ত্রিপুরা। এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কমিশনার মীর আবু আবদুল্লাহ আল–সাদাত। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন রিজভী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন কমিশনার খন্দকার নাজমুল হক।
আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বক্তারা বলেন, জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের পর রাষ্ট্রের যে নতুন অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, তাতে সঠিকভাবে ভ্যাট আদায়ের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। বৈদেশিক সাহাযির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করাতে ভ্যাটের বিকল্প নেই।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছর রাষ্ট্রের যে বিপুল রাজস্ব সংগ্রহ হয় তার বড় অংশই আসে ভ্যাট খাত থেকে। ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, “বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য সঠিক ভ্যাট প্রদান অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি ব্যবসায়ীসহ সব পর্যায়ের করদাতাকে সময়মতো নিবন্ধন নেওয়া এবং সঠিকভাবে ভ্যাট পরিশোধের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথিরা বলেন, জাতীয় রাজস্ব সংগ্রহ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভ্যাটের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের স্ব উদ্যোগে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ ও নিয়মিত ভ্যাট প্রদানের ওপর তাঁরা জোর দেন।
সভাপতির বক্তব্যে কমিশনার খন্দকার নাজমুল হক বলেন, ভ্যাট ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন জোরদার না হলে কাঙ্ক্ষিত স্বচ্ছতা ও গতি আনা সম্ভব নয়। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, রিটার্ন দাখিল, কর পরিশোধ ও হিসাব সংরক্ষণ অনলাইনে সম্পন্ন করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি জানান, অনিবন্ধিত ব্যবসা, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের ঘাটতি, রেয়াত শৃঙ্খলের দুর্বলতা, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে ভ্যাট সংগ্রহের সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ভ্যাট আয়ে ধারাবাহিক বৃদ্ধি হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার হওয়ায় এ অর্থবছরে লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব সংগ্রহ সম্ভব হবে।
ভ্যাটদিবসের প্রতিপাদ্য—“সময়মতো নিবন্ধন নেব, সঠিকভাবে ভ্যাট দেব”—উপলক্ষে সিলেটে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম, স্থানীয় কেবল অপারেটর ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে টিভিসি প্রচার করা হচ্ছে।




