হর্নে পরাভূত সর্বজনীন শিষ্টাচার ও আইনের বিধান

সিলেট আই ডেস্ক ::
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৫২ পূর্বাহ্ণমো. হারুন-অর-রশিদ: সামাজিক শৃঙ্খলার রক্ষার দীর্ঘদিনের রীতি-নীতি ও প্রথা অকার্যকর হয়ে পড়েছে সর্বত্র। আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামো সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করেও সেই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। পারস্পারিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধের কারণে একসময় বড়দের সামনে ছোটরা বসে চা চানও করতো না। এখন প্রকাশ্যে যত্রতত্র ধূমপান ও মাদক সেবনে ব্যস্ত শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শিশু-কিশোর-যুবক ও বৃদ্ধরা।
সামান্য কারণে মারপিটের ঘটনা ঘটছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে খুন এবং জখম করার ঘটনাও অহরহ। এক অপরাধের জন্য অনুশোচনা বোধ দূরের কথা প্রতিক্রিয়া আরও মারাত্মক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। তবে এসবের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার একটি ঘটনা সাড়া ফেলেছে বিশ্বব্যাপী। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে ২০ মিনিট দূরত্বের জেরাবম্বেরা রিজিওনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ফুটবল মাঠের একদম মাঝখানে প্লোভার পাখি ডিম পেড়েছে। কর্তৃপক্ষ পুরো মাঠটিই ২৮ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। পাখির ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পর খেলোয়াড়রা ওই মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন।
কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটেজি বা যোগাযোগ তত্ত্বে বাংলাদেশের প্রাত্যহিক ঘটনা এবং অস্ট্রেলিয়ার পাখির ডিম পাড়ার ঘটনাকে সামাজিক যোগাযোগ কৌশলের একটি শর্ত হিসেবে বিশ্লেষণ করা যায়। সেটি হলে এই উপগ্রহের সব মানুষকে সমানভাবে সম্মান দেখাতে হবে। শুধু মানুষ নয় সব প্রাণী ও জীবের অধিকার সমভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রারও (এসডিজি) অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার ১৬ নং লক্ষ্যমাত্রা হলো শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন করা। কমিউনিকেশন অনুশীলনের আরেকটি বড় অংশ হচ্ছে ‘পাবলিক এটিকেট’ বা সর্বজনীন ভদ্রতা বা সামাজিক শিষ্টাচার। সামাজিক শিষ্টাচারের একটি শর্ত হলো কোনো মানুষের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটি সামাজিক শিষ্টাচার বা সর্বজনীন ভদ্রতা একেবারেই লোপ পেয়েছে কিনা সেটি নিয়ে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অপরের অধিকার সংরক্ষণ দূরের কথা অপরের অধিকার হরণের ঘটনা ঘটছে অহরহ। আইনের দৃষ্টিতে যেগুলো অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত এবং সুনির্দিষ্ট কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে সেগুলোও ঘটছে অহরহ। খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ, দখল, উচ্ছেদ, ঘুষ এই অপরাধগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কমিউনিকেশন কৌশলে অপরাধীদের শাস্তি আলোচ্য বিষয় নয়। কমিউনিকেশনের কৌশলের উদ্দেশ্য হলো পারস্পারিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতামূলক কাঠামো গড়ে তোলা। এই সহযোগিতা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হতে পারে, ব্যক্তিগত প্রয়োজনের তাগিদে হতে পারে বা অন্য যেকোনো উদ্দেশ্যে হতে পারে। কমিউনিকেশন তত্ত্বে সব মানুষই যোগাযোগ রক্ষা করে। কখনো মৌখিকভাবে, কখনো লিখিতভাবে, কখনো সাংকেতিকভাবে।
সাংকেতিকভাবে বোবা, অন্ধ এবং প্রাণীকুলও পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে। যোগাযোগ রক্ষার জন্য কিছু রীতিনীতি গড়ে উঠেছে। এই রীতিনীতিগুলো পরিপালন করা হয় সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের জন্য এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য। এগুলো সামাজিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই সেগুলোর প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না।
তীব্র যানজটে আক্রান্ত রাজধানীতে গাড়ির উচ্চমাত্রার হর্ন বাজানো এবং উল্টোপথে গাড়ি চালানো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শিশু, অসুস্থ, শব্দ সংবেদনশীল ব্যক্তি, এমনকি সুস্থ মানুষদের জন্য গাড়ির হর্ন সহ্য সীমার বাইরে চলে গিয়েছে। হর্নের বিকট আওয়াজ মারাত্মক শব্দ দূষণ তৈরি করছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চ শব্দ তৈরি করে মানুষের নিরাপদে চলাফেরার সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যগত সংকট তৈরি করছে। সামাজিক শিষ্টাচারে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ চয়ন, উচ্চ আওয়াজ বা শব্দ দূষণের বিষয় সতর্ক থাকতে হয়। অযথা হর্ন বাজানো আইন অনুসারের শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৮৮ ধারা অনুযায়ী উচ্চমাত্রায় হর্ন বাজালে অনধিক তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, উল্টোপথে গাড়ি চালানো। এতে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতা, মোটরসাইকেল ও অটোরিক্সা উল্টোপথে গিয়ে যানজটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আরেকজনের অধিকারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে।
তেমনি ট্রাফিক আইন অনুসারে উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে আইন লঙ্ঘন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইনের ৪৯ এর (১ এর ঘ) অনুসারে, ‘সড়ক বা মহাসড়কে নির্ধারিত অভিমুখ ব্যতীত বিপরীত দিক হইতে মোটরযান চালানো যাইবে না; এবং (ঙ) সড়ক বা মহাসড়কে নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে বা উল্টো পার্শ্বে বা ভুল দিকে মোটরযান থামাইয়া যানজট বা অন্য কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাইবে না।’ এই ধারাগুলো লঙ্ঘন করলে ওই আইনের ৯২ এর (১) উপধারা অনুসারে কমপক্ষে ৩ মাসের কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে এবং চালকের দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কাটা যাবে।
আরেকটি মারাত্মক সামাজিক ভদ্রতা লঙ্ঘন করছে ধূমপান এবং মাদক সেবনে। শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী, গরিব সবাই যেনতেনভাবে যত্রতত্র ধূমপান করছেন। ফুটপাত, পাড়া-মহল্লার অলিগলি, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামনে মারাত্মক ধূমপান শিশু, রোগী, ধোয়া সংবেদনশীল ব্যক্তি এবং অধূমপায়ীদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে নষ্ট করছে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করছে। ফুটপাতে মুখের ওপর ধোয়া ছাড়াকে ধূমপায়ীরা কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেন না। এমনকি শিশুদের মুখে ধোয়া ছাড়া যে মারাত্মক ক্ষতিকর এই সাধারণ জ্ঞান বা ন্যূনতম অনুশোচনা উচ্চ শিক্ষিত ধূমপায়ীদেরও তাড়িত করে না।
সামাজিক যোগাযোগ কৌশলের একটি শর্ত হচ্ছে প্রতিবাদ। পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সম্মান এবং সামাজিক ভদ্রতার অনুশীলন ভেঙে পড়ার কারণে প্রতিবাদ করাটা একধরনের অপরাধ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। ধূমপানের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মালিবাগ একটি বাস কাউন্টারের মালিকসহ ১৪/১৫ জন কর্মচারী ধূমপায়ীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। এখানে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করতে চাই, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ছিল খিলগাঁও মডেল কলেজ। কলেজেই পাশেই স্কুলে আমার সন্তানকে দিতে যায়। ওই স্কুলটি প্রধান সড়ক থেকে ১০০ গজের দূরত্বের গলিতে। গলির মুখে লোহার গেট দিয়ে আটকানো। এইচএসসি পরীক্ষা দিতে আসা ৩/৪ জন পরীক্ষার্থী কলেজ ড্রেস পরা অবস্থায় স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছেন।
আমার মতো অন্য অভিভাবকরাও তাদের অবাক দৃষ্টিতে দেখতে দেখতে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ মাত্র নেই পরীক্ষার্থীদের। প্রকাশ্যে ধূমপান করার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধন ২০১৩) অনুসারে ৪ এর (১) ধারা ৭ এর বিধান অনুসারে কোনো ব্যক্তি পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করতে পারবেন না।
এই বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি কমপক্ষে ৩০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং উক্ত ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ একই ধরনের অপরাধ করলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে দ্বিগুণ হারে দণ্ডিত হবেন। কিন্তু দেশের মানুষের ধূমপানের প্রবণতা দেখলে বোধ হতে পারে এখানে আইন প্রণয়ন করাটাই অপরাধ; সুতরাং প্রয়োগ করতে গেলে বড় ধরনের গোলযোগ তৈরি হতে পারে।
আবার আইন প্রয়োগ করার দায়িত্ব যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যদের তারাও নির্লজ্জের মতো প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন অহরহ। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজনবোধ করছি, রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় উঠতি বয়সের ছেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করেন।
যেহেতু তারা সংঘবদ্ধ এবং কোনো ধরনের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হয় না, তাই তারা পরবর্তীতে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, হুমকি, মারধর, চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ‘কিশোর গ্যাং’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই গ্রুপগুলো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরেকটি হৃদয়বিদারক ঘটনার উল্লেখ করতে চাই, ২২ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই বিমান দুর্ঘটনায় স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন সবাই আগুনে পোড়ার কারণে।
অগ্নি দুর্ঘটনা নতুন নয়। দশক দুয়েক আগেও যখন কোথাও আগুন লাগতো আশেপাশের সবাই আগুন নেভানোর জন্য পানি নিয়ে ছুটে আসতেন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। এখনো আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি হারে। কিন্তু কেউ পানি নিয়ে আসেন না। আহতদের উদ্ধারও করেন না। সবাই মোবাইল হাতে নিয়ে ভিডিও ধারণে ও ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এখন আগুন নেভানো এবং আহতদের উদ্ধারের দায়িত্ব পালন করেন দমকল বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু তারা ঠিকমতো তাদের কাজটি করতে পারেন না অতিউৎসাহী মানুষদের অপ্রতিরোধ্য ভিড়ের কারণে। ভিড় কমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পৃথকভাবে বল প্রয়োগের ঘটনার আমাদের দায়িত্ববোধকে সংশয়ের মধ্যে ফেলে না বরং ধিক্কার জানাই। কমিউনিকেশনে সামাজিক শিষ্টাচারের একটি কৌশল হচ্ছে সংকট মুহূর্তে অযথা ভিড় না করা। যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ব্যক্তি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় অন্তত সংকট সৃষ্টির জন্য দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
ব্যক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ ফলপ্রসূ করতে ব্যক্তির করণীয় এই কৌশলগুলো প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে কমিউনিকেশন তত্ত্বে। পরিস্থিতি অনুধাবন করে পদক্ষেপ গ্রহণের একটি কৌশল হচ্ছে অনুভূতিগত বুদ্ধিমত্তা বা ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স। এখানে ব্যক্তির দরকার আত্ম-সচেতনতা, সচেতনতার যথার্থ ব্যবস্থাপনা (সেলফ ম্যানেজমেন্ট), সামাজিক সচেতনতা এবং রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট।
এই দক্ষতাগুলো কেউ অনুশীলন করলে সমাজ ও ব্যক্তির চাহিদা অনুসারে নিজেকে উপস্থাপন করা সহজ হবে। ব্যক্তিসচেতনতা এবং সামাজিক সচেতনতা থাকলে সাংবাদিক মারধরের ঘটনা ঘটতো না, আগুন নেভানোর সময় পানি না ছিটিয়ে জটলা পাকিয়ে ভিডিও তোলার ঘটনা ঘটতো না।
শিশু ও রোগীদের সামনে অন্তত কেউ প্রকাশ্যে ধূমপান করা এবং পাড়া-মহল্লায় মাদক সেবনের মতো সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়তো না। সর্বজনীন ভদ্রতা, সামাজিক যোগাযোগ এবং রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট যথাযথভাবে অনুসরণ করতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার খেলার মাঠ বন্ধ করার মতো দৃষ্টান্তমূলক ঘটনা বাংলাদেশেও অসংখ্য ঘটতো, ঘটবে আশা করছি।সূত্র – ঢাকা পোষ্ট
মো. হারুন-অর-রশিদ : যোগাযোগকর্মী
harunjubd@gmail.com