আজকের ইনিংসটা অবশ্যই স্পেশাল: সাইফ

সিলেট আই ডেস্ক ::
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৩১ পূর্বাহ্ণসংবাদ সম্মেলন শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চওড়া হাসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে সামান্য খোশগল্পে মাতলেন সাইফ হাসান, নিজেকে প্রমাণ করতে পারার স্বস্তি তার অভিব্যক্তিতে। সাইফ হাসানের টি-টোয়েন্টি দলে আসা এক সময় ছিলো চমক। এক সময় তাকে বিবেচনা করা হতো কেবল দীর্ঘ পরিসরের ব্যাটার হিসেবে। নিজেকে সাদা বলে বিকশিত করার কথা শোনা যাচ্ছিলো অনেকদিন ধরে। অবশেষে বড় মঞ্চে জ্বলে উঠে নিজের নামটা চেনানোর কাজটা করতে পারার তৃপ্তি তার।
এশিয়া কাপের শুরুতে একাদশে বিবেচিত ছিলেন না সাইফ। পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যর্থতায় সুযোগ পান, প্রথম ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমকে সঙ্গ দিয়ে অবদান রাখেন। এবার ম্যাচ জিতিয়ে দলের নায়ক তিনি।
দুবাইতে শনিবার রাতে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। রান তাড়ায় ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলো দল। সেই চাপ উবে যায় সাইফের আগ্রাসী ব্যাটে। আগের ম্যাচগুলোতে উইকেট পড়ার পর কুঁকড়ে যেতে দেখা গেলেও এবার প্রতি আক্রমণের পথ নেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন খোলস বন্দি না হওয়ার পণ নিয়েই নেমেছিলেন তারা, ‘উইকেট পড়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ছিল যে প্রতি আক্রমণ করব। আমরা স্পেসিফিকালি ভালো হ্যান্ডেল করছি ওদের বোলারদের। আর কমিউনিকেশন খুব ভালো ছিল লিটনদার সঙ্গে। উনি এন্টিসিপেট করতে পারছিল যে পরের বল কী হবে। উনি সেটাই আমাকে বলছিল।’
সাইফের মায়ের বাড়ি শ্রীলঙ্কায়। মায়ের দিকের আত্মীয়রা সেখানে বাস করেন। এই দিকটা অবশ্য তাকে বিশেষ নাড়া দেয় না। যদিও সাইফ বলছেন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটির দাম তার কাছে পুরো আলাদা, ‘না ওরকম কিছু না। শ্রীলঙ্কায় আমি এখনো ওখানে যাই নাই। আম্মুর ফ্যামিলির ওই সাইডে আমি এখনো যাই নাই। কিন্তু আজকের ইনিংসটা অবশ্যই স্পেশাল ছিল। দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পারছি। আশা করি আরো ভালো কিছু করতে পারব।