দিরাইয়ে পাষণ্ড পিতার লালসার শিকার নিজ কন্যা
দিরাই প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ও লোমহর্ষক ঘটনা। জন্মদাতা পিতার লালসার শিকার হয়েছে তারই কোমলমতি কন্যা! মানবতার মুখ কালিমালিপ্ত করে দিয়েছে এই পাষণ্ড পিতা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৯ নভেম্বর) ভোর রাতে, উপজেলার জগদল ইউনিয়নের একটি গ্রামে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি মাত্র ১২ বছরের কন্যা (ছদ্মনাম মিনা)। অভিযুক্ত ধর্ষক হানিফ মিয়া, মেয়েটির প্রথম স্ত্রীর স্বামী। প্রথম স্ত্রী মনিরা বেগম মারা যাওয়ার পর সে দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং সেই সংসারে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই হানিফ মিয়া তার নিজের মেয়েকে উত্যক্ত করতো, মেয়েটির উপর অমানবিক মানসিক চাপ সৃষ্টি করতো। অবশেষে সেই নরপশু নিজের রক্তের সম্পর্ককেও উপেক্ষা করে এমন ঘৃণ্য অপরাধে লিপ্ত হয়।
এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পর শিশুটি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়— “আমি বিচার চাই, আমার বাবার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” তার আর্তনাদে কেঁপে উঠেছে গ্রামবাসীর হৃদয়।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই ধর্ষক পিতাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে গেছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটির একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা নারী ও শিশু নির্যাতন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। অভিযুক্তকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একজন পিতা যখন সন্তানের নিরাপত্তার আশ্রয় না হয়ে, বরং ভয় ও ঘৃণার প্রতীক হয়ে ওঠে— তখন সমাজের বিবেক কেঁপে ওঠে। এই ঘটনার ন্যায়বিচার যেন উদাহরণ হয়ে থাকে, এমন প্রত্যাশা করছে পুরো দেশবাসী।





