শাকসু নির্বাচন পেছানোকে ঘিরে ছাত্র সংগঠনগুলোর ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ অপরাহ্ণ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করে নতুন করে আগামী ২০ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন জানিয়েছে পৃথক প্রতিক্রিয়া। কেউ তারিখ পরিবর্তনকে যৌক্তিক বলছেন, আবার কেউ দেখছেন প্রশাসনের অদক্ষতার প্রমাণ হিসেবে।
ছাত্রদল: ছুটির পরের তারিখটাই যুক্তিসংগত
শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম—ডিসেম্বরের প্রথমদিকে অনেক বিভাগের ইন্টার্ন, ল্যাব ও একাডেমিক কার্যক্রম থাকে। ছুটির ভেতরে ভোট পড়লে উপস্থিতিও কম হতো। প্রস্তুতির সময়ও প্রয়োজন। তাই সময় পরিবর্তন স্বাভাবিকই।’
ছাত্রশিবির: প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন মনে করেন, ঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করে প্রশাসন তাদের দুর্বলতাই প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাষায়,
‘অনেক আগ থেকেই একটি পক্ষের চাপে পড়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছিল। জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যে অস্থিরতা থাকবে, সেই সময় নির্বাচন কতটা সম্ভব—সেটি নিয়েও আমাদের সন্দেহ আছে।’
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন: অনিশ্চয়তা কাটেনি
সংগঠনের সেক্রেটারি আজাদ শিকদার বলেন, ‘বেশির ভাগ সংগঠন ডিসেম্বরের ভেতর নির্বাচন চাইলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন তা করতে পারেনি। জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের উত্তাপ ক্যাম্পাসেও প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে নতুন তারিখে নির্বাচন কতটা নির্বিঘ্নে হবে—তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।’
তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সব বাধা কাটিয়ে যদি ২০ জানুয়ারি নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, তবে তা একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

শাবিপ্রবি মজলিস সভাপতি জুনায়েদ আহমদ বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বর ভোট হলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী থাকত কি না—তা নিয়েই সন্দেহ ছিল। সে তারিখে আমরা নির্বাচনে যেতে পারতাম না। শেষ পর্যন্ত সব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেই ২০ জানুয়ারির তারিখ ঠিক হয়েছে। আমরা এটি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’




