নিজস্ব প্রতিবেদন ::
প্রকাশ ০৭/০৭/২০২২ ১৫:২৪:৪৩
ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফেঞ্চুগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক একজনকে হুমকী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোবাইল কলে ওই ছাত্রলীগ নেতার কথোপকতনের রেকর্ড এখন ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। হুমকীদাতা ছাত্রলীগ নেতার নাম রেজান আহমদ। তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ওই অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাফায়েত হোসেন অভিযোগ গ্রহণ করেন নি বলে দাবি করেছেন উপজেলার বাঘমারা গ্রামের আক্তার হোসেন।
রেকর্ডকৃত মোবাইল কল থেকে শুরুতেই আক্তার হোসেনকে আক্রমণ করা হয়। এ সময় আক্তার হোসেন পরিচয় জানতে চাইলে নিজের পরিচয় দিয়ে রেজান আহমদকে অকথ্য এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়। আক্তার হোসেন বলেন, গত ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে একটি পোস্ট লিখেন। তার পোস্টে লেখা ছিল ‘সিলেট ৩ আসনে আওয়ামী লীগ নিধন করতে বিএনপি কিংবা জামায়াত নয় একজন সংসদ সদস্যই যথেষ্ট। কারণ এখানে নিজদলীয় কর্মীরা হামলা-মামলা শিকার হলেও তারা অভিভাবকহীন।মুখ খোলার সাহস নেই তাদের।দলীয় নেতা জামায়াত বিএনপির পৃস্টপোষক।’ ওই পোস্টে আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে মন্তব্য করি। আমার মন্তব্য ছিল ‘জয় হউক সত্যবাদী লিখনীর অধিকারী সিলেট ৩ আসনের নির্যাতিত তৃণমূল আওয়ামিলীগ এর অতি প্রিয় নেতা মানবতার ফেরিওয়ালা আমার প্রিয় নেতা মাহমুদুর রহমান ভাইয়ের’।
তিনি বলেন, এর জের ধরে রেজান আহমদ আমাকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষা ব্যবহারসহ আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকী নেওয়ার হুমকী প্রদর্শন করে। বাধ্য হয়ে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ চাইলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার অভিযোগ গ্রহণ করেন নি।
আক্তার হোসেন বলেন, থানা পুলিশ যে এমপি হাবিব সাহেবের নির্দেশে চলে তার প্রমান আমার অভিযোগ গ্রহণ না করা। এ ব্যাপারে আক্তার হোসেন সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
গালাগালি ও হুমকীর বিষয় স্বীকার করে অভিযুক্ত রেজান আহমদ বলেন, একটি বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে এবং আক্তার ভাইয়ের সাথে আজ সকালেও দেখা হয়েছে। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এই বিষয়ে দু’জনকে এক সাথে বসিয়ে সমাধানের উদ্যােগ গ্রহণ করবেন।
অভিযোগ গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, গালাগালিটা উভয় পক্ষে হয়েছে। তাই অভিযোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
সিলেট আই নিউজ / এনসি
ফেসবুক পেইজ
ফেসবুক মন্তব্য