তাহিরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ ৩০/০৫/২০২৪ ০৭:৫০:০২
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৯ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রভাবশালী মহলের বাঁধার মুখে মুমুর্ষ অবস্থায় ওই শিশু কন্যাকে চিকিৎসাসেবা ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পরিবারের হেফাজতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর নাম, আজগর আলী (২৫)। সে উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের রতনপুর পুর্ব পাড়ার জহুর মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী ও এক শিশু কন্যা রয়েছে।
বুধবার সন্ধায় ভিকটিমের পিতা জানান, উপজেলার রতনপুর পুর্ব পাড়া গ্রাম সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া রতনপুর পুর্ব পাড়ার ৯ বছরের শিশু কন্যা মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামের সামনের সড়কে খেলাধুলা করছিলো।
ওই শিশু কন্যার পরিবারের প্রতিবেশী ও সম্পর্কে মামা আজগর গ্রামের মুদি দোকান থেকে কিছু একটা কিনে এনে দেয়ার কথা বলে শিশু কন্যাকে তার বসতঘরের দরজার সামনে ডেকে নেয়। এরপর হাতে ৩০ টাকা গুজে দিয়ে জোরপূর্বক ওই শিশু কন্যাকে তার ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই শিশু কন্যার পরিবারকে আইনি সহায়তা না নিতে এমনকি থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ না করতে বাঁধা সৃষ্টি করে। সালিসে ধর্ষণের বিষয়টি সমাধানের জন্য ভিকটিমের পরিবারকে চাঁপ প্রয়োগ করতে থাকে।
ভিকটিমের পিতা আরো জানান, আমি গোপনে আমার শিশু কন্যাকে নিয়ে রাতে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়িতে আমি ধর্ষণের বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাতে। পুলিশ আমাকে ডাক্তারী সনদ পত্র নিয়ে ্এসে থানায় অভিযোগ করতে বলে। এরপর আমি আমার হেফাজতেই আমার শিশু কন্যাকে নিয়ে রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
বুধবার সন্ধায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতার পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানতে পেরে উনাকে প্রথমে ভিকটিমকে হাসপাতালের ( ওসিসিসিতে) নিয়ে যেতে বলেছি।
সিলেট আই নিউজ / এসএম
ফেসবুক পেইজ
ফেসবুক মন্তব্য