

ছাতক প্রতিনিধি :>>
প্রকাশ ০৩/০৬/২০২৪ ০৮:৫৬:৪৬

ছাতকে একদিন বিরতির পর আবারো পানি বাড়তে শুরু করেছে। টানা ভারি বর্ষণ এবং পাহাড়ী ঢলে উপজেলার নিন্মাঞ্চল সহ নতুন করে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। আবার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেনী কক্ষে পানি প্রবেশ করায় অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে পাঠদান। ক্রমশ বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে ধাবিত হওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা নিতে পারছেনা।
এদিকে টানা বর্ষণে এখানের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হলেও শনিবার রাত থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে দেখা গিয়েছিলো। এতে মানুষের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করে। তবে তখনো সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত ছিলো।
কিন্তু রোববার রাত থেকে প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আবারো সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে । সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টেমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরসভা সহ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বন্যা আতংক।
উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ধনীটিলা-ছনবাড়ী বাজার সড়ক, ইছামতি-ছনবাড়ীবাজার সড়ক, শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক সহ উপজেলার অর্ধশতাধিক কাচা-পাঁকা গ্রামীন সড়ক তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। ইউনিয়নের নোয়াকুট, রহমতপুর, বনগাঁও, দারোগাখালী, বৈশাকান্দি, ছনবাড়ী, ইছামতি, লুবিয়া, বাগানবাড়ি, রাসনগর, রতনপুর সহ নোয়ারাই, ছাতক সদর, কালারুকা, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, জাউয়া, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, দক্ষিন খুরমা, ভাতগাঁও, দোলারবাজার ও সিংচাপইড় ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আউশ-আমন ধানের বীজতলা ও শাকসবজীর বাগান তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে।
তবে কোথায় কোন বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। পানি বৃদ্ধির কারনে উপজেলা আশ্রয় কেন্দ্র সহ আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত কোন পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়নি।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত সহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয়েছে। কোন ধরনের গুজবে আতংকিত না হওয়ার জন্য তিনি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সিলেট আই নিউজ / এসএম

ফেসবুক পেইজ

ফেসবুক মন্তব্য