নিজস্ব প্রতিবেদন ::
প্রকাশ ১৩/১০/২০২১ ০৮:০১:৪০
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মহা অষ্টমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। আজ বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হলেও লোকসমাগম ছিলো লক্ষণীয়।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুমারী শিশুকে নতুন কাপড় পড়িয়ে দেবীর সাজে সজ্জিত করে কুমারী মন্দিরে বসানো হয়। সেখানে দেবীর পূজা শুরু করেন পুরোহিতরা। পূজা শেষে ভক্তবৃন্দের জন্য দেবীকে বসিয়ে রাখা হয়।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক রজত চক্রবর্তী বলেন, এবার দেবী দুর্গার কালসন্ধর্ভা রূপে পূজা করা হয় ৯ বছরের মেয়ে পূজা চক্রবর্তীকে। পূজা চক্রবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা এলাকার বিষ্ণু চক্রবর্তীর মেয়ে। সে একটি স্কুলে ৩য় শ্রেণীতে পড়ে।
তিনি বলেন, শাস্ত্রে আছে ভগবান জীবাত্মা রূপে সব জীবের মধ্যে বিরাজমান। কুমারী পূজাটি স্বামী বিবেকানন্দ প্রচলন করেন। নারীকে দেবী জ্ঞানে সেবা করা, নারীদের শ্রদ্ধা করা, যাতে তাদের শ্রদ্ধার আসনে রাখা হয়, সে জন্য কুমারী নারীর পূজা করা।
সনাতন সেবা সংস্থা বৈদিক এর মুখপাত্র অপিক দেব বলেন, সনাতন ধর্মে নারীদের দেবী রূপে সম্মান জানিয়ে পূজা করে আসছে। তারই একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পূজার এই কুমারী পূজা। কুমারী পূজার মাধ্যমে আমরা সবাইকে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে, নারী কখনোই পিছনে থাকতে পারে না। নারীরা দেবী শক্তি, নারী অসুর বিনাশী, নারীরা জাগলেই পুরো বিশ্ব জাগবে এবং সমগ্র বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, মূলত ১ বছর থেকে ১৬ বছর বয়সের কন্যা শিশুকে দেবী রূপে পূজা করা হয়ে থাকে। এবং প্রতিবছরই দেবীর আলাদা আলাদা নাম নিয়ে এই পূজা করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে কুমারী পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আরাধনা করলে দেবী সেটা পূরণ করেন।
সিলেট আই নিউজ / এমএনআই
ফেসবুক পেইজ
ফেসবুক মন্তব্য