বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন



Repoter Image

ছাতক প্রতিনিধি :>>

প্রকাশ ০৮/০৭/২০২৪ ১২:০৩:০৪

ছাতকে লায়েক মিয়া হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ছাতক পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিরর, প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের ভাতিজা ইসতিয়াক তানভির সহ ১২ জন। 

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিকেশন (পিবিআই) দীর্ঘ তদন্তের পর এ হত্যা মামলার সাথে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাদের এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চুড়ান্ত অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

তারা হলেন, ছাতক পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক, প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইসতিয়াক রহমান তানভির, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদমান মাহমুদ সানি, আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন, আবুল খয়ের টুটুল, তাজ উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন মিজান, সাব্বির, আব্দুল মতিন, আব্দুল গফ্ফার বাবুল, সালাউদ্দিন মঞ্জু, সামছুল ইসলাম, আহসান ইসলাম সায়মন, আজাহার উদ্দিন মিলন, মহসিন উদ্দিন, সারোয়ার ইসলাম, এরশাদ আলী ও আকাশ দাস। ফলে মামলার প্রধান আসামী শহরের মন্ডলীভোগ জংলীঘর এলাকার তাজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কদ্দুছ শিবলু সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন পিবিআই। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার ইদ্রিছ আলীর পুত্র ইব্রাহিম মিয়া, আজর আলীর পুত্র কলিম উদ্দিন মিলন এবং ফারুক মিয়ার পুত্র কয়েছ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া।

উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ রাতে থানা সংলগ্ন শহরের গনেশপুর খেয়া ঘাটে ছুরিকাঘাতে খুন হন মন্ডলীভোগ-জংলীঘর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র লায়েক মিয়া। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩১ মার্চ নিহতের ভাই আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা (নং-২৫) দায়ের করেন। পরবর্তিতে এ মামলায় আসামীর পাল্লা আরো ভারী হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা মামলাটি তদন্ত করে অবশেষে পিবিআই’র হাতে ন্যস্থ হয়। পিবিআই সিলেটের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩০ জুন প্রধান আসামী আব্দুল কদ্দুছ শিবলু সহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযুগ পত্র দাখিল করেছেন।

সিলেট আই নিউজ / এসএম


ফেসবুক পেইজ