
ছাতক প্রতিনিধি :>>
প্রকাশ ১৬/০৭/২০২৪ ১২:১৫:৩৭

ছাতকে লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে সবজির দাম। প্রতিদিনই কাঁচা বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ইচ্ছেমতো মূল্য নির্ধারণ করে সবজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকটা অসহায়ত্বের শিকার হয়েই পকেট উজাড় করে শাক-সবজি কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। আবার চড়া মূল্যে পণ্য কিনেও প্রতারিত হচ্ছেন অনেক ক্রেতা সাধারণ। এক কেজি পণ্য ক্রয় করে অন্য কোথাও ওজন করালে সেটি ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কম পাওয়া যাচ্ছে। এ যেন ডিজিটাল মেশিনে ডিজিটাল তেলেছমাতি।
রোববার ছাতক শহর সহ আশপাশের কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে দামের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। একেক দোকানে সবজির মূল্যও ভিন্নভিন্ন। এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে কাঁচা বাজারে সবজি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম। বর্তমানে বেশীরভাগ সবজিই প্রতি কেজি ৬০ টাকার নিচে নয়। সবজি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
বেসরকারি সংস্থায় চাকুরী করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ায় বর্তমানে তিনি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা, মুখী ৮০-৯০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, লুবি ৯০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ঢেঁরশ ৬০ টাকা, বাধাকপি ১২০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাকরুল ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মাঝারী সাইজের কলার মুচা ৪০-৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মিষ্টি লাউ প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে একটি মাঝারি সাইজের মিষ্টি লাউ ১৫০-১৭০ টাকা, সাধারণ সাইজের একটি চাল কুমড়া ৮০-৯০ টাকা, কাঁচ কলা প্রতি হালি ৬০-৭০ টাকা, আলু ৬০-৬৫ টাকা, ঝিংগা ৭০ টাকা, শষা ৭০ টাকা, ৬-৭ টি করে আটি বাধা ডাটা ৫০-৬০ টাকা- এরকম প্রতিটি সবজির দাম ৬০ টাকার উপরে। বন্যার অজুহাতে প্রতিটি সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা রফিক মিয়া জানান, অবশেষে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা শাক-সবজি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলছি। মাছ কিনলে সবজি কেনার সামর্থ্য থাকেনা, আর সবজি কিনলে মাছ কেনা হয়না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা আব্দুল কাদির জানান, বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে সবজি বিক্রি করছেন।
বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তারা খুচরা ব্যবসায়ী। কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করে থাকেন সবজি। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের কোন হাত নেই বলে জানিয়েছেন।
ছাতক সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের সাথে সাধারণ মানুষের আয়ের পার্থক্য ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে।
সিলেট আই নিউজ / এসএম
ফেসবুক পেইজ
ফেসবুক মন্তব্য