অবশেষে দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি পেল সাড়ে ৩ হাজার চা শ্রমিক
কাজে ফিরেছেন চুনারুঘাটের চা শ্রমিকরা
আই নিউজ ডেস্ক ::
প্রকাশ ০৭/১২/২০২৪ ০৯:১৯:৫০
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের লস্করপুর ভ্যালীতে ন্যাশনাল চা কোম্পানির (এনটিসি) টি ফাড়িসহ ৭টি বাগানে চা শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্তের পর শুক্রবার দেওয়া হয়েছে দুই সপ্তাহের মজুরি। বাকি ৪ সপ্তাহের মজুরি দেওয়া হবে জানুয়ারি মাসে।
এর আগে চলতি বছরের ২২ আগষ্ট থেকে ৬ সপ্তাহ মজুরি না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। প্রায় ৩ মাস ধরে রেশন ও মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিল এসব বাগানের শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল জানান, শ্রীমঙ্গল শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ে চা শ্রমিকদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও ন্যাশনাল চা কোম্পানির যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বকেয়া ৬ সপ্তাহের মজুরি দুই কিস্তিতে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দেওয়া হয় দুই সপ্তাহের মজুরি। মজুরি পেয়ে শ্রমিকরা শুক্রবার থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন।
তিনি জানান, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল চা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহমুদ হাসান, এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক, ডিডিএল নাহিদুল ইসলামসহ শ্রমিক প্রতিনিধি, চা বাগান পরিচালনা প্রতিনিধি এবং সরকারি অধিদপ্তরের প্রতিনিধি। এই তিনপক্ষের যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্তেই তাদের বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে এ চা শ্রমিক নেতা বলেন, শুক্রবার শ্রমিকদের ২ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি দেওয়া হয়। মাসিক বেতনধারী শ্রমিকদের ২০ ডিসেম্বর ১ মাসের বেতন দেওয়া হবে। এখন থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা হবে। বাগানের কর্মচারীদের ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ মাসের বেতন দেওয়া হবে। এছাড়া বাগান বন্ধের দিনগুলোতে চা শ্রমিকদের রেশন কাটা হবে না। বোনাস ও বার্ষিক ছুটির দিন গণনার ক্ষেত্রে বাগান বন্ধের দিনগুলো অনুপস্থিত দেখানো হবে না।
এদিকে অবশিষ্ট বকেয়া মজুরি আগামী ২০২৫ সালের মার্চ এর মধ্যে পরিশোধ করা হবে। একইসঙ্গে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করা হবে। এদিকে ভ্যালীর ৭টি বাগান বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ মাসে ২০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে চা বাগানগুলো। এ অবস্থায় ভ্যালীতে চলতি বছর লক্ষমাত্রা অর্জন না হওয়ার পাশাপাশি লোকসানের দিকে যাচ্ছে।
সিলেট আই নিউজ / জেইউ
ফেসবুক পেইজ
ফেসবুক মন্তব্য