বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন



Repoter Image

আই নিউজ ডেস্ক ::

প্রকাশ ১৩/০২/২০২৫ ০৯:৪০:২১
শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর রুটিন
ছবি: সংগৃহীত

শিশুর জন্মানোর প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খায়। তাতেই সে যাবতীয় পুষ্টি লাভ করে। ছয় মাস পর থেকে চিকিৎসকরা শিশুর জন্য নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা বলে দেন। সেই মতো তাকে খাওয়ানো হয়। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, শিশুর সুস্বাস্থ্য এবং সঠিক পুষ্টি নির্ভর করে তার অভিভাবকের সচেতনতার ওপর। তাকে ছোট থেকে যে রকম খাবার এবং জীবনধারার অভ্যাস করাবেন, সে ওই ভাবেই বেড়ে উঠবে। তাই শিশুর সঠিক পুষ্টি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য বাবা-মায়েদের ছোট থেকেই একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চলা আবশ্যিক।

সঠিক খাবারের মাধ্যমে পুষ্টি

শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং বুদ্ধির বিকাশের জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। এই সময় থেকেই তার শরীর এবং মস্তিষ্ক দ্রুত পরিপক্ক হতে শুরু করে, সেই কারণে সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য। ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্ক হাড়কে শক্তিশালী করতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুষম খাদ্য প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে, যা পেশী এবং টিস্যু বিকাশ, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং শক্তির জন্য অপরিহার্য।

ছোট থেকেই শিশুকে ফল,শাকসবজি, শস্য এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ানো উচিত। পাশাপাশি খাওয়াতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা দুধের মতো তরল খাবারও। স্বাস্থ্যকর অসম্পৃক্ত চর্বি শিশুর শরীরকে শক্তিশালী করে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় এবং ফলের রস সে সব কার্যকারিতার গতিকে ধীর করে দিতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। সবুজ শাকসবজি, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার, শুকনো ফল, গোটা শস্য, বাদাম, বীজ, রুটি, ভাত এবং দানা শস্যের মতো স্টার্চযুক্ত খাবার, অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার শিশুর হাড় দৃঢ় এবং সুস্থ রাখে। এতে মধ্য বয়সে পৌঁছে রোগের আশঙ্কাও কমবে।

সুষম খাদ্য,ভারসাম্যপূর্ণ জীবন

একটা সময় পর থেকে ছোটরা জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই শৈশব থেকেই পুষ্টিকর খাদ্যের অভ্যাস শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অসুস্থতার ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে। পরবর্তী সময়ে স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের প্রকোপ হ্রাস করে।

নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া

নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস ছোটদের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সাহায্য করে। তাই ছোট থেকেই খাবার, খেলাধুলো, ঘুমোনো ইত্যাদির সময়সূচী বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন একই সময়ে এই কাজগুলো করলে এটি হজম নিয়ন্ত্রণে, বিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে এবং স্থিতিশীল শক্তির স্তরের জন্য সার্কাডিয়ান রিদমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ

শিশুদের প্রতি সময়, মনোযোগ এবং স্নেহ প্রদান অপরিহার্য। ছোটরা বড়দের দেখেই শেখে। তাই বড়রা ভালো অভ্যাস তৈরি করলে তা ছোটদের উপরেও বর্তায়। শিশুরা হলো অনেকটা নরম মাটির মতো। তাদের যে ভাবে গড়বেন সে ভাবেই তারা গড়ে উঠবে। তাই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার, পড়াশোনায় মনোযোগ এবং ভালো মানসিক পরিবেশ তাদের ভালো মানুষ করে তোলে। তা ছাড়াও ছোটদের শান্ত এবং ভালো মেজাজের পিছনে পুষ্টিকর খাবারের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যে প্যারেন্টিং অ্যাপের ভূমিকা

শিশুর পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের যত্নে প্যারেন্টিং অ্যাপগুলি বেশ সাহায্য করে। অ্যাপের মাধ্যমে বাবা-মায়েরা শিশুর খাবারের পরিকল্পনা, পুষ্টিসংক্রান্ত তথ্য, শিশুদের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যান। শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি বেশ সহায়তা করে।

সিলেট আই নিউজ / একে


ফেসবুক পেইজ