শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন



Repoter Image

নিজস্ব প্রতিবেদন ::

প্রকাশ ২৩/০৬/২০২২ ১৫:২৪:১২

বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জে। তবে পানি বাড়ছে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেটের পাঁচটি স্থানে নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৯৫ সেন্টিমিটার, সিলেটে সুরমা ২৮ সেন্টিমিটার, আমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারা ১০৯ সেন্টিমিটার, শেওলায় কুশিয়ারা ৬৫ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা ১১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট বিরাজ করছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের চরম সংকট। নৌকা না থাকায় অনেকেই গৃহ বন্দি হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুকনো খাবারের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যায় বহু মানুষের বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে,মৌলভীবাজারে হাওরঅঞ্চলে পানি বাড়ছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাওর পারের কয়েক লক্ষ বাসিন্দা। বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। নৌকা না থাকায় অনেকেই গৃহ বন্দি হয়ে পড়েছেন। আবার হাওর পারের কোনো কোনো আশ্রয় কেন্দ্রেও পানি উঠতে শুরু করেছে।

জেলার হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরে দ্রæত গতিতে পানি বাড়ছে। জেলার জুড়ী উপজেলার শাহপুর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই গ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িতে পানি উঠেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে গাদাগাদি করে বন্যার্তরা বসবাস করছেন। শহরের আশাপাশ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও প্রত্যন্ত এলাকায় কেউ যাচ্ছে না। যার ফলে গ্রামের মানুষের মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

একই অবস্থা হবিগঞ্জেও। বুধবার ২৪ ঘন্টায় হবিগঞ্জে নতুন করে আরো ৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে ৭টি উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন এখন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। ক্ষতিগ্রস্থ উপজেলাগুলো হচ্ছে, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল ও মাধবপুর। এর মধ্যে আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ভাটি অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় ২২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৩শ ৪৭ বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছেন। ২৩ হাজার ২শ’ ৩৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ৭৯হাজার ৭শ’ ২০জন লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লক্ষ টাকা নগদ এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার দুপুরে খোয়াই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আই নিউজ / এনসি

মাই ওয়েব বিট

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।

ফেসবুক পেইজ