শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন



Repoter Image

আই নিউজ ডেস্ক ::

প্রকাশ ২৮/০১/২০২৩ ১০:৩৪:১৭
ফাইল ছবি

বন্ধুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে একটি কন্টেইনারে লুকিয়েছিল ১৫ বছরের ফাহিম। কিন্তু ভেতরে ঢুকেই তার চোখে ঘুম লেগে আসে। কিন্তু যখন তার ঘুম ভাঙে তখন দেখা যায় কন্টেইনারের মুখ আটকা। শত চেষ্টা করেও সে বের হতে পারেনি সেখান থেকে। এভাবেই না খেয়ে এক সপ্তাহ পাড় করে সে। এরপর যখন সে মুক্তি পেলো, তখন সে মালয়েশিয়ায়। শুনে সিনেমার গল্প মনে হলেও এটিই ঘটেছে ফাহিমের সঙ্গে। 

গত ১১ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে লুকোচুরি খেলছিল ফাহিম। সে যেই কন্টেইনারে ঢুকেছিল, সেটি যাওয়ার কথা ছিল মালয়েশিয়ায়। আর এভাবেই নিজের অজান্তে ৩৭০০ কিলোমিটার দূরের এক দেশে পৌঁছে গেল সে। কন্টেইনারে ঢোকার ছয় দিন পর গত ১৭ জানুয়ারি বের হতে পারে ফাহিম।

বাংলাদেশি জাহাজ থেকে কন্টেইনারগুলি নামানোর সময় তাকে উদ্ধার করে মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরের কর্মীরা। এখন সে সেখানকার এক হাসাতালে ভর্তি। সুস্থ হলে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা রয়েছে তাকে। 

জানা যায়, কন্টেইনারটি থেকে মাল নামানোর সময় বেরিয়ে আসে ফাহিম। তাকে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বন্দর কর্মীরা। সে স্থানীয় ভাষা বলতে বা বুঝতে পারছিল না। তাই তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বন্দরকর্মীরা। তারা সন্দেহ করেন, কোনও মানব পাচারকারী চক্র তাকে ওই কন্টেইনারে করে পাচার করার চেষ্টা করেছে। অবিলম্বে তারা মালয়েশীয় পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে জেরা করে জনতে পারে, এই ক্ষেত্রে কোনও মানব পাচার বা অন্য কোনও অপরাধ জড়িত নয়। কিশোর ছেলেটি নিজের ভুলেই কন্টেইনারে আটকে পড়েছিল। তারপর থেকে ৬ দিন ধরে তার ভিতরেই আটকে ছিল সে। ভিতর থেকে সাহায্যের জন্য সে অনেক চিৎকার করেছিল, কিন্তু বাইরে থেকে কেউ তার গলার আওয়াজ শুনতে পায়নি। 

কীভাবে খাদ্য বা জল ছাড়া ৬ দিন বেঁচে ছিল, তা এখনও সকলের কাছে রহস্য। পরে তাকে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডিহাইড্রেশনে ভুগছে সে। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ।


সিলেট আই নিউজ / একে

মাই ওয়েব বিট

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।

ফেসবুক পেইজ