শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন



Repoter Image

আই নিউজ ডেস্ক ::

প্রকাশ ৩০/০৬/২০২১ ০৩:৪৮:৩১




প্রশ্ন: নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কোরবানির সময় সাময়িক ঋণগ্রস্ত হয় তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে কি?


উত্তর: নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কোরবানির দিনগুলোতে সাময়িক ঋণগ্রস্ত থাকে, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে না তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। 



আর যদি ঋণ আদায় করে দিলেও নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২)


কোরবানির নেসাব হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি (৭.৫)। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন তোলা (৫২.৫)। আর অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্যের সম্পদ। (টাকার অঙ্কে আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকা) 


স্বর্ণ বা রুপার কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না হয়, তবে স্বর্ণ-রুপা উভয়টি মিলে কিংবা এর সঙ্গে প্রয়োজন-অতিরিক্ত অন্য বস্তুর মূল্য মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্যের হয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও কোরবানি ওয়াজিব হবে। 


স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার, নগদ অর্থ, যে জমি বার্ষিক খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না এবং প্রয়োজন অতিরিক্ত আসবাবপত্র— এসবই কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।


এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজনে আসে না এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছেদ, আসবাবপত্র,  তৈজসপত্রও ধর্তব্য হবে। সে সম্পদের ওপর এক বছর অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।  


উত্তর প্রদানে: ফতোয়া বিভাগ, মারকাযুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়া ঢাকা 


সিলেট আই নিউজ / আই নিউজ/টম

মাই ওয়েব বিট

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।

ফেসবুক পেইজ