শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন



Repoter Image

নিজস্ব প্রতিবেদন ::

প্রকাশ ২৫/১১/২০২১ ০৬:৩০:১৯

আসি আসি করেও সিলেটে এখনোও পুরোপুরি শীত আসেনি। প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাবে আগের মতো শীতের আমেজও দেখা মিলছে না।তবুও  শীতের আগমনী বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে সিলেটের লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী কারিগরদের ব্যস্ততায়।

নগরীর লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। তাদের পাশাপাশি বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরাও। দিন যতই গড়াচ্ছে শীতের প্রকোপ ততই বাড়ার আশংকায় সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়ও মানুষজন নতুন নতুন লেপ-তোষক তৈরি করছেন।

লেপ-তোষক ব্যবসায়ীদের বছরের অন্যান্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি ও ব্যস্ততা কয়েক গুন বেড়ে যায়। বাজারে কম্বলের তুলনায় লেপের দাম কম ও আরাদায়ক হওয়ায় মানুষের কাছে এর চাহিদাও বেশি। তুলা পিটিয়ে তা রঙ বেরঙের কাপড়ের তৈরি লেপ-তোষকের কাভারে মুড়িয়ে সুই-সুতার ফোড়ে তৈরি করা হয় লেপ।

নগর জীবনে এখনো শীতের আমেজ পাওয়া না গেলেও সিলেটের পাহাড়ের পাদদেশের  উপজেলাতেও এরই মধ্যে শীতের এই আগমনী বার্তা ছড়িয়ে গেছে। সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। শীতের এই আগমনবার্তাকে সামনে রেখে মানুষজন নিচ্ছেন শীত মোকাবেলার প্রস্তুতি। ভীড় বাড়ছে লেপ-তোষকের দোকানে। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষকের কারিগর ও এই ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের।

সিলেট জেলার প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারেই দেখা গেছে শীতকে সামনে রেখে এমন প্রস্তুতির দৃশ্য। দোকান থেকে লেপ-তোষক কিনে শীতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন এ উপজেলার লোকজন। ফলে অলস সময় কাটানোর দিন ফুরিয়ে গেছে লেপ-তোষকের কারিগর ও ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীত মৌসুমের অন্তত এই চারটি মাস তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। এই সময়টাতে লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকেরাও দিনরাত কাজ করেন এ সময়টাতে।

অন্য সময়ের লোকসান পুষিয়ে নিতে এ চারটি মাস তারা কাজ করেন সমান তালে। বাকি আট মাস এই কাজ তেমন একটা না থাকায় লেপ-তোষকের কারিগররা জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য কাজে মনোনিবেশ করেন। কেউ নেমে পড়েন রিকশা-ভ্যান চালাতে, কেউ মাঠে দিনমজুরের কাজ নেন, আবার কেউ কেউ তাদের সুবিধামতো বেছে নেন অন্য পেশা।

সরেজমিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি লেপ ও তোষক তৈরিতে ৫-৬ কেজি তুলা ব্যবহার করা হয়। আকার ভেদে ৭শ’ থেকে দুই হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। একটি তোষক তৈরি করতে ৮-১৫ কেজি তুলা লাগে, বিক্রি হয় ৬শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায়। একটি জাজিম তৈরিতে ৩০-৫০ কেজি তুলা ও নারিকেলের খোসা প্রয়োজন হয়। আকার ভেদে তা বিক্রি হয় ১৫শ’ থেকে চার হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের অন্যান্য সময় মাসে ২-৪ জন তোষক কিনতে আসলেও লেপের চাহিদা একেবারেই থাকে না। শীতের শুরু থেকে অন্তত চারটি মাস লেপ-তোষক বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে লেপ। যে কারণে চাহিদার কথা মাথায় রেখে লেপ সেলাই কর্মীদের সংখ্যাও বাড়াতে হয়।

সিলেট নগরীর রেল গেইট এলকার একটি দোকানে কথা হয় লেপ-তোষক তৈরির কারিগর বাবুল মিয়ার সাথে, তিনি জানান, শীতের সময় কাজের চাপ থাকে। গড়ে প্রতিদিন একজন কারিগর ৩-৪টি লেপ-তোষক তৈরি করতে পারেন।

সিলেট আই নিউজ / এমএনআই

মাই ওয়েব বিট

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর মনিটরিং করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন, এটি গুগল এনালাইটিক এর মত কাজ করে।

ফেসবুক পেইজ